Bhitarkanika Tour 2008 (Part 4)
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
আজ ভিতর কনিকা ভ্রমণের ৪র্থ পর্ব। গত পর্বে( আগের পর্বের লিঙ্ক https://travellingsourav.blogspot.com/2020/10/Ekakula-Gahirmatha-Beach.html
)
আমি সম্পূর্ণ একাকুলা দ্বীপ এবং KalidiyaBhanja দ্বীপ যাওয়ার জন্য বোট ছাড়া পর্যন্ত বর্ণনা করেছিলাম। আজ তারপর থেকে -
KaliDiye Bhanjo |
এই ভাবে আরও আধা ঘণ্টা চলার পর আমরা চলে এলাম KalidiyaBhanjaতে। এটিও একটি ছোট্ট দ্বীপ। এখানে আসার পথে আরও কয়েকটি ছোট খাট দ্বীপ পরে। এছাড়াও আমাদের চখে পড়ল স্পীড বোর্ড, নাবিকদের জাহাজ ইত্যাদি। এখানে আসার পথে দূর থেকেই আমাদের দেখানো হল নদিয়াচড়া আইল্যান্ড। এই দ্বীপটির বেশীর ভাগই ভারতীয় জলবাহিনী সেনাদের আন্ডারে, তাই এর দর্শন হল দূর থেকেই। যাওয়ার কোন প্রশ্নই নেই।
towards KaliDiye Bhanjo |
সমুদ্র দিয়ে
আসার সময়ও বেশ মরা কচ্ছপ ভেসে থাকতে দেখে ছিলাম। নৌকা এক জায়গায় থামানোর পর আমরা সরু
বনে ঘেরা রাস্তার মধ্য দিয়ে কালিদিয়া ভঞ্জ দ্বীপের মধ্যে প্রবেশ করলাম। এই দ্বীপে হরিণ
আছে। মাঝিদের কথা অনুযায়ী হরিণেরা বিকালের আগে বন থেকে বের হয়না। তাই হরিণ দেখা হল
না, কিন্তু মাটিতে হরিণের পায়ের ছাপ স্পষ্ট। এখানে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে আমরা চললাম
ধামরা আইল্যান্ডের দিকে।
কিছুক্ষণ চলার
পর আমরা চলে এলাম Dhamraতে। ধামরায় এসে আমরা সবচেয়ে আগে গেলাম ধামরা বন্দরে। সমুদ্র
থকে ধরে আনা মাছ এখানে বিক্রি করা হয়। এবার মাছ শুকিয়ে, শুঁটকি মাছ করে বিক্রিও করা
হয় এখানেই। এবং এটি একটি মাছের প্রকল্প। এখানে আরও কিছুক্ষণ কাটিয়ে আমরা চলে গেলাম Dhamra টেম্পল দেখতে। এটি একটি কালি মন্দির। উপরে বিভিন্ন রকমের রাক্ষস খোক্কশ এর মূর্তি
তৈরি করে বসানো আছে। এখানে আরও কিছুক্ষণ কাটিয়ে আমরা রওনা হলাম সেই আমাদের পুরনো জায়গা
চাঁদবালির দিকে।
KaliDiye Bhanjo |
এখান থেকে
নদী পথে চাঁদবালি পৌঁছাতে সময় লাগল মাত্র আড়াই ঘণ্টার কাছাকাছি। চাঁদবালিতে ফিরে এলাম
বিকাল ৪ঃ১৫ টা নাগাদ। বেড়াতে এসেছি, বসে থাকব কেন? বেরলাম আমাদেরই একজনকে সঙ্গে নিয়ে
কাছাকাছি ঘুরতে। আর একটু পরে অন্ধকার হয়ে আসতেই ফিরলাম হোটেলে। হাত মুখ ধুয়ে বসে গেলাম
রোজ নামচা লিখতে। এদিকে দেখি সবাই আসর বসিয়ে দিয়েছে। আমন সময় গরম চা, আর লাল সশ সহ
পাকউরা চলে এসেছে।
আজকে রাত ৯ঃ৩০ টার মধ্যে খাওয়া শেষ হয়ে গেল। পরের দিন ভোর ৪ঃ৩০ টায় অ্যালার্ম দিয়ে রাখলাম। রাতের ডিনার হিসাবে পেলাম খাসির মাংস, রুটি, ফুলকপি ও আলুর তরকারী। এরপর নিজেদের জিনিসপত্র গোছগাছ করে নিয়ে শুয়ে পড়লাম।
Dhamra Temple |
চতুর্থ দিনঃ- ভোর ৪ টের
সময় ঘুম ভেঙ্গে গেল। এধার-ওধার করতে লাগলাম। এরপর একটা সময় চা এসে গেল। এরপর নিজেরা
তৈরি হয়ে নিলাম। ৫ঃ৩০ টা নাগাদ গাড়ী চলে এলো। বেলা ৮ঃ২০ টা নাগাদ হাওড়া-ভুবনেস্বর ট্রেন
ছিল। ট্রেন ৩০ মিনিট লেট ছিল। কাজেই সবাই মিলে গল্প শুরু। ট্রেন আসার পর ট্রেন এ জায়গা
খুঁজে সবাই বসতেই একটু সময় লেগে গেল। ডিম, পাউরুটি ও কলা সহযোগে প্রাতঃরাশ সেরে নিয়ে
আবার অল্প কিছুক্ষণের জন্য নিদ্রা গেলাম। কিছুটা সময় বই পরে কাটিয়ে দিলাম। এবার হাওড়া
এলো। হাওড়া থেকে একটা জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়ে দুপুরের খাওয়া খেয়ে নিলাম। বিকাল ৫ টা নাগাদ
সবাই বাড়ী পউছালাম।
তবে একটা কথা
বলি এই ট্রিপে একাকুলা দ্বীপের ভ্রমন যদি না হত, তাহলে মনে হয় এই ভ্রমণটি অসম্পূর্ণ
থেকে যেত।
শেষে বলি আমি
যদি কোনদিন ট্যুর অপারেটর হই, তবে এই ট্যুরটি আমি অবশ্যই করাব। আবার দেখতে পাব সেই
ফেলে আসা দিনগুলির এক ঝলক। আপনারা যাবেন তো আমার সাথে?
আপনারা যদি Dhamra সম্পর্কে আরও জানতে চান তাহলে এই লিঙ্কটি দেখুন - https://en.wikipedia.org/wiki/Dhamra
ChandBali in the evening |
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন