Joyrambati & Kamar Pukur after Lock Down
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
পূর্ববর্তী পর্বের জন্য পাশের লিঙ্ক টি দেখুন
জঙ্গল পেড়িয়ে এসে আমরা একটা চায়ের দোকানে দাঁড়ালাম। মিনিট ১০, এখানে কাটিয়ে আবার রওনা দিলাম। বিষ্ণুপুর থেকে জয়রাম বাটি যেতে সময় লাগে প্রায় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের কাছাকাছি, দূরত্ব প্রায় ৪৪ কিমি। জয়রাম বাটিতে সব চেয়ে আগে আমরা গেলাম “মায়ের বাড়ী” দেখতে। যখন গেলাম তখনও গেট খোলে নি। গেট খুলল ৮ঃ৩০ টায়। হাতে লোশান দিয়ে, তাপমাত্রা পরীক্ষা করে ভিতরে ঢুকতে দিল। আবার মন খারাপ সাত সকালেই। মোবাইল বা ক্যমেরা কিছুই ব্যবহার করা যাবে না। যাক, ঢুকে পরে আসেপাশে দেখলাম। বেশ সুন্দর ফুলের বাগান। এক পাশে জুতো রাখার জায়গা। এখন দেখলাম পুরো প্রাঙ্গণে যেতে দিচ্ছেনা। অনেক জায়গাতেই নোটিশ ঝোলান, এর পর আর যাওয়া যাবে না। প্রায় মিনিট দশেক এখানে ঘুরলাম। মায়ের মন্দির খুলে গিয়েছিল। দর্শনও হল। টুকুস করে লুকিয়ে ছবি ও ভিডিও তুলে বেরিয়ে এলাম। বাইরে জিগ্যাসা করলাম এখানে আর কি কি দেখার আছে? স্থানীয় একজন বললেন সিংহ বাহিনী মন্দির ও মায়ের ঘাট।
চললাম সিংহ বাহিনী মন্দির দেখতে, আমার মতে এমন কিছু না। একটা
সরু গলির মধ্যে দিয়ে গিয়ে দেখলাম মন্দিরটি। ফিরে এলাম ৫-৭ মিনিটের মধ্যে। আবার যাব
মায়ের ঘাট দেখতে। একটি বড় পুকুর, চারপাশ বাঁধানো। একদম বড় রাস্তার উপরে। আমাদের জয়রাম
বাটি দেখা কমপ্লিট। এবার চললাম কামার পুকুর দেখতে। মোবাইলের দেখান রাস্তায় চললাম।
জয়রাম বাটিতে থাকবার একটি হোটেলের নাম এখানে দিলাম। যদি কেও মনে করেন এখানে থাকবেন তাহলে ফোন করে নিতে পারেন - নীলাচল লজ (৯৪৩৪৫২২৯০৫, ৯৭৩৩৫০০৪৫০)
আরও হোটেলের বুকিং এর জন্য এই লিঙ্কটি দেখুন -
https://www.justdial.com/Bankura/Hotels-in-Jayrambati/nct-10255012
আমাদের জয়রাম বাটি ও জয়পুরের জঙ্গল বেড়ানোর ভিডিও টা এখানে দিলাম দেখবেন ভালো লাগবে -
জয়রাম বাটি থেকে কামার পুকুর মাত্র ২০ মিনিটের পথ, ৭.৫ কিমি মত। আমরা একটু ঘুরেই গেলাম, ঠিক মত রাস্তা না বুঝতে পারার জন্য। আমরা প্রথমেই গেলাম রামকৃষ্ণ মঠে। দেখি সামনেই সিকিউরিটি স্প্রে আর থার্মাল গান নিয়ে দাঁড়িয়ে। দুটোই হল। ভেতরে দেখলাম নির্দেশিকা দেওয়া আছে, একটা অংশের পর আর যাওয়া যাবে না। আবার মন ভাঙল, ভিডিও বা ছবি তোলা যাবে না। ওকে। মিনিট ১০এক কাটিয়ে, শিব মন্দির, ঠাকুরের থাকার ঘর দেখে বাইরে বেরিয়ে এলাম। চললাম উল্টো দিকের হালদার পুকুরে। মিনিট খানেক কাটিয়ে আবার এলাম মঠের গেটের সামনে। দেখলাম, দর্শনীও স্থানের ম্যাপ দেওয়া আছে।
ইতি মধ্যে একটি মেয়ে
এসে আমাদের ধরল, সে গাইড হিসাবে আমাদের সব জায়গা ঘুরিয়ে দেখাবে, তার জন্য কোন নির্দিষ্ট
অর্থ নয়, যে যা দেবে সে তাই নেবে। সে একে একে আমাদের লাহাদের বাড়ী, বিষ্ণু মন্দির,
পাঠশালা, কামার পুকুর (যেই পুকুরের থেকে জায়গাটার নাম) আরও কাছাকাছি দর্শনীও যা ছিল
সব দেখাল। মোটামুটি পৌনে ১ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের সব দেখা কমপ্লিট। প্রায় ১০-১০ঃ৩০ তার
মধ্যে আমরা বেরিয়ে পড়লাম।
একটা কথা জানিয়ে
রাখা ভালো, এখানে যে মেয়েটি আমাদের গাইড করেছিল, তার কথায়, আপনাদের যাদের বাড়িতে পুরনো
জামা কাপড় আছে, তারা এখানে এনে তাদের হাতে তুলে দিতে পারেন।
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন