Visakhapatnam or Vizag – Travel guide Part 3
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
পূর্ববর্তী পর্বের জন্য এই লিঙ্ক টি দেখুন -
https://travellingsourav.blogspot.com/2021/04/Borra-Caves-Dolphins-Nose-Light-House-Brookfield-Beach-Durga-Temple.html
চতুর্থ দিনঃ আজ বুধবার, ৩০ শে ডিসেম্বর। ভোর ৪ঃ৩০ টা নাগাদ আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। দেখলাম আরও অনেকে উঠে পড়েছে। আজ সকাল থেকেই ঘোরার প্ল্যান ছিল। সবাই স্নান সেরে নিলাম। ৭ টার কিছু আগে বাস চলে এলো।
আজ আমাদের প্রথম গন্তব্য ছিল Simhachalam এর “নরসিংহ“ মন্দির দেখতে। যাওয়ার পথেই আমরা ২০ মিনিটের জন্য থামলাম টিফিন করতে। প্রায় ৯ টা থেকে ৯ঃ১৫ টার মধ্যে পউছালাম সিমাচলম এর বাস স্ট্যান্ড চত্বরে। সেখান থেকে হেঁটে পাহাড়ের গা বেয়ে মন্দির প্রাঙ্গনে যেতে সময় লাগল আরও ১৫ মিনিট মত। এখানে এসে দেখলাম একপাশে সবাই জুতো খুলে রেখেছে। মন্দিরের প্রবেশ পথ সেখান থেকে একটু দূরে। এই মন্দিরে একপাশ দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বেরোতে হয়। এর জন্য আমাদের সময় লাগল প্রায় ২০ মিনিট। এখানে যদি আপনি ঠাকুরের ভোগ খেতে চান, তাও পারবেন, আপনাকে দিতে হবে ২০ টাকা। এখানকার চারপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ বেশ মনোরম। আমরা এখানে প্রায় ১ ঘণ্টার কাছাকাছি ছিলাম। এবং বলতে গেলে প্রতিটি মুহূর্তই উপভোগ করেছি। এবার যাওয়ার পালা। নেমে এলাম সোজা বাস স্ট্যান্ডে। বাসে বসার মিনিট ১০ পর বাস ছাড়ল Simhachalam থেকে।
এবার চলেছি
আমাদের দ্বিতীয় গন্তব্য চিড়িয়া খানার উদ্দেশে। কত সময় লেগেছিল অতটা মনে না পড়লেই আর
কিছুক্ষণ পরেই পউছালাম “চিড়িয়াখানা”য়।
টিকিটের মূল্য বড়দের জন্য ১৫ টাকা, শিশুদের জন্য ৫ টাকা আর ক্যমেরার জন্য ১৫ টাকা।
আমার সবচেয়ে যেটা ভাল লাগল সেটা হচ্ছে, চিড়িয়া খানা টি পুরো পাহাড়ের গা ঘেসে। এখানে
দেখলাম বিভিন্ন রকমের পাখি, চিতাবাঘ, বেবুন, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, সাদা বাঘ, হরিণ,
বাইসন, কুমীর ইত্যাদি। এবার আমাদের যাওয়ার পালা।
এরপর চললাম আমাদের আজকের তৃতীয় গন্তব্য “Rushikonda Beach” বীচের দিকে। যেখানেই যাই না কেন কোথাও গেলে আমি সবচেয়ে আগে যে টা করি সেটা হল বেশ কতগুলি ফটো তোলা। সত্যি কথা বলতে চারপাশের দৃশ্য এতো ভাল লাগছিল, মনে হচ্ছিল এখানেই থেকে যাই। জলে নামলে আবার সময়ের ঠিক করা যায়না। প্রায় ২০-২৫ মিনিট সমুদ্রে স্নান করলাম। উঠে চললাম কাছাকাছির হোটেলে খেতে। আজ দুপুরের খাওয়ার হিসাবে মিলল ডাল, ভাত, দুই রকমের তরকারী। এবার আমরা Rushikonda Beach ছেড়ে চলেছি আমাদের পরের গন্তব্যর দিকে।
আমাদের পরবর্তী
গন্তব্য ছিল ২০ মিনিট দুরত্তের “Kailasagiri“
। আমাদের পাড়ি দিতে হল প্রায় ১০ কিমি পথ। এখানকার প্রধান আকর্ষণ হল বিশালাকার হর-পার্বতীর
মূর্তি। এক ধারে গিয়ে দেখলাম এখান থেকে চারপাশ দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। সামনে নীল
সমুদ্র, পাশ দিয়ে চলে গেছে সুন্দর রাস্তা, রাস্তায় ছোট ছোট অনেক গাড়ী আর সমুদ্রে অনেক
নৌকা। যদিও এটি নিজের উপলব্ধি, এখান থেকে যতদূর দেখা যায়, তাতে কিন্তু এই শহর টি কে
আমার খুব একটা ঘিঞ্জি মনে হয়নি। এই Kailasagiri তে আছে ট্রয় ট্রেন, রোপওয়ে, সাজানো ফুলের
বাগান। ট্রয় ট্রেন এর ভাড়া ছিল বড়দের জন্য ৪০ টাকা আর ছোটদের জন্য ৩০ টাকা। আর রোপওয়ে
করে যাওয়া আসার জন্য নিল ৬০ টাকা করে।
এবার আমরা চলেছি আমাদের শেষ গন্তব্য “DA INS Kursura Submarine” দেখতে।দেখলাম বিশাল লম্বা লাইন পড়েছে। আমার আবার লাইনে দাঁড়াতে একদমই ভাল লাগে না। আমি ভীতরে ঢুকলাম না। বাইরে থেকেই ছবি তুললাম। আমরা আজ রামকৃষ্ণ বীচে এলাম অন্য দিক দিয়ে ঘুরে। সারাক্ষণ বেরিয়ে বেশ ক্লান্ত লাগছিল, বীচে এসে বসলাম পার্কের মধ্যে। কিছুক্ষণ বসে আবার একটু হাঁটাহাঁটি।
আমরা হোটেলে
ফিরে এলাম। রাত ৯ টা নাগাদ আমাদের লাগেজ গোছগাছ করে চললাম খেতে। কাল আমাদের বাড়ী ফেরার
দিন। হোটেলে খেয়ে ১০ঃ৩০ টা নাগাদ সবাই শুয়ে পড়লাম।
পঞ্চম তথা শেষ দিনঃ আজ একটু দেরী করেই উঠলাম। আজ বছরেরও শেষ দিন তথা ভ্রমনেরও শেষ দিন। সকাল ১১ টা নাগাদ সবাই খেতে চললাম। ১২ টা নাগাদ হোটেল থেকে বেরলাম। আমাদের সবাই যা লাগেজ ছিল সেটি একটি অটো তে তুলে দেওয়া হল। অটো ভাড়া নিল ৪০ টাকা করে প্রত্যেকটির থেকে। আমাদের ট্রেন ছিল দুপুর ১ টা নাগাদ। আমরা আধ ঘণ্টা আগেই এসে হাজির। চললাম যে যার কোচের সামনে। উঠে পড়লাম। ট্রেন ছাড়ল ঠিক দেড় টা নাগাদ। বিকালে চা কফি হওয়ার পর রাত ৮ঃ৩০ টা নাগাদ ট্রেন এর খাওয়ার খাওয়া-র জন্য বলা হল।
আজ ১লা জানুয়ারী
২০১০, ঠিক ভোর ৩ঃ৫০ টা নাগাদ আমাদের ট্রেন হাওড়া তে এসে থামল। বাস রেডি ছিল। বাড়ী পউছালাম
ঠিক ভোর ৬ঃ৩০ টায়।
ভাইজাগে কতগুলি বেড়ানোর জায়গা আছে সেগুলি এখানে তুলে ধরলাম, আশাকরি জেনে ভাল লাগবে -
কৈলাসগিরি পাহাড়, আরাকু ভ্যলি, বোরো কেভ, কাম্বালা কোনডা, ম্থসদারশিনি আয়করিয়াম, রস হিল, সিমাচলম, ওয়ার মেমরিয়াল, বজ্জানা কোনডা, নাভাল জাদুঘর, নাভাল এয়ার ক্রাফট জাদুঘর, সাবমেরিন জাদুঘর, ভিমিলি বীচ, গঙ্গাভারম বীচ, রামকৃষ্ণ বীচ, ঋষি কোনডা বীচ ও ইয়ারাদা বীচ।
ভাইজাগের হোটেল বুকিং করতে হলে এই লিঙ্কটি তে ক্লিক করুন, এখানে ছোট-বড় ২০০ টি হোটেলের নাম দেওয়া আছে -
https://www.makemytrip.com/hotels/visakhapatnam-hotels.html
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন