Visakhapatnam or Vizag – Travel guide Part 1
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
আজ ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৯। ভিতর কনিকা ( https://travellingsourav.blogspot.com/2020/10/Chandabali-KanikaPalace-Baitarani.html ) ঘুরে আসার প্রায় ১ বছর বাদে আবার বেরলাম। আর এ বার চলেছি, সকলের প্রিয় Vizag এ।ছোট বেলাতেও একবার গিয়েছিলাম বাবার অফিসের থেকে, তবে অনেক ছোট তো সেই স্মৃতি আজ ধুসর হয়ে গেছে। তাই আমার চেনা জানা এক মামা যখন বলল যাবি, দেখলাম মা-ও না করল না। তাই চললাম, সেই পুরনো স্মৃতি আবার একবার ঘসে মেজে নিতে ভাইজাগ।
তা বলে রাখা ভাল, আমার মামার একটি কো-অপারেটিভ সোসাইটি আছে। মেম্বার ও অনেক। তারা মাসে মাসে টাকা জমিয়ে বছরে একবার করে ঘুরতে যান সবাই মিলে। এ বারেও সবাই মিলে ঠিক করা হয়েছিল ভাইজাগ যাবে। আমার মত দুই এক জন ছিল যারা বাইরের। তা দেখলাম, কেও সেরকম আপত্তি করল না। আমার ও বেশ ভালই লাগছিল। দেখলাম অনেকের সাথে পরিচয় হবে, যারা আমাদের জায়গাতেই থাকেন।
এবার আমাদের
যাত্রা শুরু হল নারায়ণ পুর নামক ঘরেরই কাছের এক জায়গা থেকে। সকালে বাড়ী থেকে ভাত খেয়েই
বেরলাম, কারন কখন আবার খেতে পারব তা আমরা কেও জানি না। সকাল ৮ঃ১০ এ বাসে চেপে বসলাম।
হাওড়া তে পউছালাম বেলা ১১ঃ৩০ নাগাদ। আমাদের ট্রেন এর নাম ছিল ইস্ট কোস্ট এক্সপ্রেস।
গিয়ে দেখি ট্রেন দিয়ে দিয়েছে। টিকিট দেখে সবাই যে যার কোচে উঠে পড়লাম। ট্রেন ছাড়ল ঠিক
১১ টা ৫০ মিনিটে। আমরা একসাথে ছিলাম প্রায় ৪৫ জন, বিভিন্ন বয়সের।
ট্রেন এ ওঠার
কিছুক্ষণ পরে একটি কলা, এক প্যকেট মিষ্টি পাউরুটি, একটি কাঁচাগোল্লা ও একটি গজা সহযোগে
টিফিন সারলাম। আমাদের গন্তব্য station ছিল বিশাখাপ্ত্তনম। জায়গা পেয়েছিলাম ট্রেন এর
ধারের সিটে। দেখলাম বেশ কিছু নামী station এর ( মেছেদা, খড়গপুর, বালাসোর ) ও কিছু অনামী
station ( বস্তা, সরো ) এ দাড়াতে দাড়াতে চলল। বিকালে সবাই চা, বিস্কুট ও খেলাম। চলতে
চলতে পরিচয় পর্ব সঙ্গে গল্প গুজব ও চলতে লাগল। রাত ৮ঃ৫০ টা নাগাদ আমরা ৩ টি রুটি, আলুর
দম ও ২ টি দানাদার সহকারে রাতের খাওয়ার শেষ করলাম। আমাদের বলাই ছিল ভোর ৩ঃ৩০ টা নাগাদ
আমাদের ট্রেন বিশাখাপ্ত্তনম station এ থামবে। আমরা সবাই ফোনে অ্যালার্ম সেট করে ৯ঃ৩০
টা নাগাদ ঘুমিয়ে পড়লাম।
ভোর ৩ঃ৩০ টের কাছাকাছি ট্রেন বিশাখাপ্ত্তনম station এ এসে থামল।
প্রথম দিন ঃ Station থেকে পায়ে হেঁটে আমাদের হোটেলের দূরত্ব ছিল প্রায় মিনিট ১০ এর কাছাকাছি। ঠিক ছিল আগের দিন সবাই ট্রেন জার্নি করার জন্য আজকে বাইরে সেইভাবে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হবে না। সবাই কাছাকাছির মধ্যেই ঘোরাঘুরি করবে। আমরা সবাই হোটেলে এসে সবাই নিজের নিজের রুমে চলে গেলাম। সব কিছু ঠিক করে ফ্রেশ হয়ে আমরা তিন চার জন সমবয়সী মিলে হাঁটতে বেরলাম। বেরিয়ে এসে স্নান সেরে নিয়ে, খেতে চললাম। বেশ বড় বড় লুচি, আলুর তরকারী ও অন্য তরকারির ঝোল দিয়ে সকালের টিফিন খেলাম। তারপর আমরা চারজন মিলে Vizag এর রামকৃষ্ণ বীচের দিকে রওনা দিলাম অটো করে। ভাড়া নিল ৩৫ টাকা জন প্রতি। গিয়ে পৌঁছানর পর সমুদ্রের নীল জলরাশি দেখে মন আনন্দে একদম ভরপুর। সে কি মজা। একবার এ দিক ছুট, আর একবার ও দিক ছুট। এদিকে রোদ আস্তে আস্তে চড়া হচ্ছে। বীচ থেকেই সমুদ্রে প্রচুর ছোট ছোট জাহাজ, ট্রলার দেখা যাচ্ছিল,সঙ্গে দেখা যাচ্ছিল দুরের জাহাজের ডক-ও। বেশ কিছু ফটো তোলা হল।
আর বেশিক্ষণ থাকা গেল না। ফিরে চললাম হোটেলে। কেন জানিনা, এবার এতো ভাড়া
নিল জন প্রতি ৪০ টাকা। দুপুরে আমাদের সবার খাওয়ার ছিল মাছ, ভাত, সব্জি ইত্যাদি। খেয়ে
নিয়ে দুপুরে একটু বিশ্রাম। রোদ একটু পরে এসেছে, বলতে গেলে নিস্তেজ। বেলা ৩ টে নাগাদ
আমরা আবার বেরলাম। আবার অটো করে চললাম সি বীচের দিকে। নেমে পড়লাম বিস্তীর্ণ বালুকা
রাশির উপর। জোয়ার এসে একবার ভিজিয়ে দিয়ে গিয়েছে কিছুক্ষণ আগেই। খালি পায়েই কিছুক্ষণ
হাঁটলাম। এই হাঁটার একটা আলাদা মজা আছে। পাশেই আছে একটি টাওয়ার। চারজন মিলে হাঁটতে
হাঁটতে চললাম সেই দিকে। ফেরার সময় ধরলাম পিচের রাস্তা। দেখলাম পাশেই একটি পার্ক মত
করা আছে। ঢুকলাম সবাই মিলে। দেখলাম সান বাধান জায়গা। বসার জায়গাও করে দেওয়া আছে। কিছুক্ষণ
থাকলাম। তারপর ফিরে চললাম হোটেলের দিকে। সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ আমরা যারা আগে গিয়েছিলাম,
তারা ফিরে এলাম। অন্য যারা গিয়েছিলেন তারা ফিরলেন আর একটু পরে। রাত প্রায় ৮ঃ৩০ টা নাগাদ
আমরা সবাই আমাদের হোটেলের নীচে “নিমন্ত্রন” রেস্টুরেন্টে খেতে গেলাম। খেয়ে নিয়ে সামান্য
একটু হাঁটা। তারপর রাত ১০ টা ৩০ মিনিটের কাছাকাছি শুয়ে পড়লাম। তবে একটা জিনিস আমি দেখেছি Vizag এর মত নীল সমুদ্রের জল মনে হয় এর কোথাও নেই, আমি যতটুকু দেখেছি তার হিসাবে বলছি। জানিনা আপনারা আমার সাথে সহমত হবেন কিনা।
পরবর্তী পর্বের জন্য এই লিঙ্ক টি দেখুন -
https://travellingsourav.blogspot.com/2021/04/Borra-Caves-Dolphins-Nose-Light-House-Brookfield-Beach-Durga-Temple.html
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
ধন্যবাদ, ভালো হচ্ছে বর্ণনা এবং গল্প বলার স্টাইল। ট্রেন হোটেল এর বিস্তারিত গল্পে থাকলে অন্যান্য ভ্রমণকারীদের উপকার হবে। আশা করি আরো গল্প পাবো।
উত্তরমুছুনআপনি পরের ব্লগ গুলিতে নজর রাখুন। অবশ্যই সেখানে দিয়ে দেব। ধন্যবাদ।
মুছুন