Bakreswar Shakti Peeth
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
গত পর্বের লিঙ্ক - https://travellingsourav.blogspot.com/2021/04/SonajhuriHaat-with-Tarapith.html
আজ ১৮.০৪.২১ রবিবার। ঘুম থেকে উঠলাম দেরী করে। এ সি ঘর থাকার জন্য ঠাণ্ডাও লাগছিল। ৮ঃ৩০ টা নাগাদ উঠে স্নান সেরে ৯ টা নাগাদ চললাম Bakreswar এর দিকে। চলেছি যে দিকে বামাখ্যপার বাড়ী আছে সেই রাস্তা ধরে। ছোট রাস্তা থেকে আমরা পড়লাম বড় রাস্তায়। যেতে যেতে এক জনের সাথে পরিচয় হল। তিনিও যাবেন বক্রেস্বরের দিকে। ভালই হল, তার সঙ্গে সঙ্গে চললাম। ধরলাম সিউরি রোড। রাস্তা দারুন। তবে বেশ বড় বড় পাথর বোঝাই লরি যাচ্ছে। পথে পড়ল বেশ কয়েক কিলোমিটার জোড়া জঙ্গল, দুই পাশেই। এক সময় এসে রাস্তা চার ভাগে ভাগ হয়ে গেল। আমরা চললাম ডান দিকে। এই মোড় থেকেও প্রায় ১৫ কিমির কাছাকাছি পথ। মাঝপথে এক জায়গায় মিনিট ১০ দাঁড়ালাম। দেখলাম অনেক গাছ কেটে রাখা আছে।
আজ সকালে কোন টিফিন করিনি। খুব খিদে পেয়েছে। রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি আর দুই পাশে দেখছি কোথায় ভাল খাওয়ার দোকান আছে। কিন্তু পাচ্ছি না। তবে একটা জিনিস এই পথের শোভা সত্যি অবর্ণনীয়। পুরো ফাঁকা রাস্তা। অনেকে যারা লং ড্রাইভ করতে ভাল বাসেন, তারা এই পথে এলে যে মন্দ লাগবে না, সেই গ্যরান্তি আমি দিতে পাড়ি। এই ভাবে দেখতে দেখতে ফাঁকা মরু প্রান্তর পেরিয়ে আমরা চলে এলাম Bakreswar এ। একটা জিনিস দেখলাম তারাপীঠ থেকে বক্রেস্বরের দুরত্ত কিলোমিটার হিসাবে ঠিক ৬৩ কিমি। গাড়ীর কাঁটা তাই বলছে। আসতে সময় লাগল পৌনে ২ ঘণ্টা। এবার খাওয়ার পালা। সব থেকে আগে চললাম ভাতের হোটেল খুঁজতে। পেলাম ও, খেলাম মাছ ভাত। পড়ল ৬০ টাকা করে জন প্রতি। এবার বেড়ানোর পালা।
আমরা অনেকেই শুনেছি/জানি বক্রেস্বরের উষ্ণ প্রস্রবন আছে। প্রথমেই গেলাম সেই দিকে। একটি বড় গেট পেরিয়ে গেলাম সেইদিকে। টিকিট কাটতে হল ৫ টাকা দিয়ে। ভিতরে ঢুকেই এক বিশাল গাছ। চারপাশে বেদি করা আছে। তার সোজাসুজি স্নানের ঘাট। আমরা চললাম পাশ দিয়ে পিছনের দিকে। দেখলাম আরও দুটি চৌবাচ্চা (কুণ্ড) মত করা আছে। নীচ দিক থেকে বুদবুদ উঠছে, আর জলের উপর অংশ থেকে ধোঁয়া বেরচ্ছে। ভিতরে প্রায় ১০ মিনিট কাটিয়ে চললাম শিব মন্দিরের দিকে। দেখলাম রাস্তার ধারের পুরান মন্দির গুলিতে রঙ করা হয়েছে। বাবার মন্দির একদম শেষে। ঢোকার রাস্তা আছে দুই দিকে। মন্দিরের ভিতরেও এবার একটি কুণ্ড আছে। বাবার মাথায় যে জল ঢালা হয় তা এখানে এসে জমা হয়। এরপর চারপাশ ঘুরে দেখলাম। এখানে আছে মা দুর্গার একটি মন্দির ও মূর্তি। সব দেখে বেরিয়ে এলাম। এবার যাব সোনা ঝুরি। আবার কেন? আমার বন্ধুর বৌ বলেছে তার জন্য একটি শাড়ি কিনে না নিয়ে গেলে বাড়ীতে ঢুকতে দেবে না। আমরা বেরলাম সাড়ে ১২ টা নাগাদ। গাড়ীর ইঞ্জিন ঠাণ্ডা হয়েছে।
পথের দৃশ্য উপভোগ করতে করতে আবার চলে এলাম সেই চৌ মাথার মোড়ে। এবার যাব ডান দিক। অনেকক্ষণ চলার পর আবার বাক নিলাম। এবার রাস্তা একটু খটমট। এইভাবে ১ টা ৫৫ নাগাদ পউছালাম সোনাঝুরিতে ( প্রায় ৫৩ কিমি)। আমি এদিক সেদিক ঘুরতে লাগলাম, আর বন্ধুটি তার কর্তব্য পালনে গেলেন। এখানে প্রায় ১ ঘণ্টা কাটালাম। এবার চলেছি শক্তিগড়ের উদ্দেশে। এইভাবে চলতে চলতে মাঝে মাঝে কিছুক্ষণ বিশ্রামও নিচ্ছি। যেমন একবার দাঁড়ালাম অজয় নদীর উপরের ব্রিজে। দেখলাম বালি তোলার কাজ চলছে। চারপাশ বেশ সবুজে ভরা। দেখেও ভাল লাগল। এবার একটানা শক্তিগড়। তখন বাজে বিকাল ৪ঃ৪০ । খিদে পেয়েছে। খেলাম এগ চাউ ও দুটি করে ল্যাংচা। এগ চাউ নিল ৫০/- প্লেট আর ল্যাংচা ৫/- পিস।
প্রায় ১ ঘণ্টা রেস্ট । অনেকটা এগিয়ে আবার ধরলাম সুলতানগাছা রোড। এই রাস্তা মগড়ার কাছে গিয়ে ওঠে। বন্ধুকে বাড়ীতে নামিয়ে আমি যখন বাড়ী পউছালাম তখন রাত ৮ টা ২০।
এখানে Bakreswar এর দর্শনীও স্থানের একটি লিস্ট দিলাম (ছবিতে) -
আমাদের বক্রেস্বরের ভ্রমণ ভিডিও টি এখানে দিলাম দেখবেন -
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন