পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Purulia's Pakhi Pahar & Khairabera Dam

ছবি
গত পর্বের লিঙ্কঃ    https://travellingsourav.blogspot.com/2022/12/MurugumaDam-MarbleLakeUpperDam.html   চতুর্থ দিন(১৮/১১/২২)ঃ   গতকাল রাতেই আমরা ঠিক করে নিয়েছিলাম আমরা যাব আমাদের বাকি স্পট Pakhi Pahar  আর KhairaBera Dam দেখতে। সকাল সকাল স্নান সেরে প্রাতঃরাশ সেরে আমরা ৯ঃ৩০ টা নাগাদ বেড়িয়ে পড়লাম। আমরা ঠিক মত জানতাম না যে কোনটা কোন দিকে পরবে। তাই আমরা হিলটপ রোড থেকে প্রথমে নেমে এলাম নীচে। নীচে আমরা প্রথম দিনে যার হোটেলে খেয়েছিলাম তাদেরকেই জিগ্যাসা করলাম কোনটা কোন দিকে পরবে। ওনারা বললেন সামনে নেতাজী মোড় আছে। সেখান থেকে বাঁ দিকে প্রায় ১০ কিমি গেলে পরবে পাখি পাহাড়। আর ডান দিকে ১০ কিমির বেশী রাস্তা যেতে হবে তাহলে পরবে খয়রাবেরা ড্যাম। ভাল কথা, আমরা পাহাড় থেকে যখন নীচে নামছিলাম তখন বেশ কয়েকটি গুড় তৈরির জায়গা দেখতে পেলাম। তার মধ্যে আমরা ঢুঁ মারলাম দুটি জায়গাতে দেখলাম এক জায়গায় পাতলা গুড় বলল ১২০/- টাকা কেজি, পাটালি গুড় ২০০/- টাকা কেজি। আমরা দর কষাকষি করে পাতলা গুড় নিলাম ১০০/- টাকা কেজি সঙ্গে বোতলের জন্য ১০/-। এবার আমরা চললাম প্রথমে  Pakhi Pahar র উদ্দেশ্যে। নেতাজী মোড় থেকে বেড়িয়ে অনেকটা যেতে হল

Bhitarkanika Tour 2008 (Part 4)

ছবি
  আজ ভিতর কনিকা ভ্রমণের ৪র্থ পর্ব। গত পর্বে( আগের পর্বের লিঙ্ক https://travellingsourav.blogspot.com/2020/10/Ekakula-Gahirmatha-Beach.html )   আমি সম্পূর্ণ একাকুলা দ্বীপ এবং KalidiyaBhanja  দ্বীপ যাওয়ার জন্য বোট ছাড়া পর্যন্ত বর্ণনা করেছিলাম। আজ তারপর থেকে - KaliDiye Bhanjo এই ভাবে আরও আধা ঘণ্টা চলার পর আমরা চলে এলাম KalidiyaBhanja তে। এটিও একটি ছোট্ট দ্বীপ। এখানে আসার পথে আরও কয়েকটি ছোট খাট দ্বীপ পরে। এছাড়াও আমাদের চখে পড়ল স্পীড বোর্ড, নাবিকদের জাহাজ ইত্যাদি। এখানে আসার পথে দূর থেকেই আমাদের দেখানো হল নদিয়াচড়া আইল্যান্ড। এই দ্বীপটির বেশীর ভাগই ভারতীয় জলবাহিনী সেনাদের আন্ডারে, তাই এর দর্শন হল দূর থেকেই। যাওয়ার কোন প্রশ্নই নেই।  towards KaliDiye Bhanjo সমুদ্র দিয়ে আসার সময়ও বেশ মরা কচ্ছপ ভেসে থাকতে দেখে ছিলাম। নৌকা এক জায়গায় থামানোর পর আমরা সরু বনে ঘেরা রাস্তার মধ্য দিয়ে কালিদিয়া ভঞ্জ দ্বীপের মধ্যে প্রবেশ করলাম। এই দ্বীপে হরিণ আছে। মাঝিদের কথা অনুযায়ী হরিণেরা বিকালের আগে বন থেকে বের হয়না। তাই হরিণ দেখা হল না, কিন্তু মাটিতে হরিণের পায়ের ছাপ স্পষ্ট। এখানে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে আমরা চল

Bhitarkanika Tour 2008 (Part 3)

ছবি
  আজ ভিতর কনিকা ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব। আগের পর্বে (  https://travellingsourav.blogspot.com/2020/10/Dangmal-Forest-Pahkira-Gunj.html  )  আমি ডাংমল ফরেস্ট ও পাখিরা গঞ্জ দ্বীপে যাত্রা সম্পর্কিত কাহিনী বর্ণনা করেছি। আজ তারপর থেকে -- এখান থেকে আমাদের পরবর্তী গন্তব্য হল Ekakula দ্বীপে যাত্রা। এবং এটি আমার জীবনের একটি বিরল অভিজ্ঞতা। কেন? আসুন সেই কাহিনীটি শুরু করা যাক। পাখিরাগঞ্জের ভিতর থেকে বেরিয়ে গিয়ে আমরা আবার পড়লাম ব্রাহ্মণী নদীতে। চলেছি দ্বীপের দিকে এগিয়ে। কিন্তু কোথায় দ্বীপ। এমনিতেই সূর্য ডুবে গেছে চারপাশে শুধু ঘুরঘুট্টি অন্ধকার। এই সময় আমরা ধ্রব তারা দেখতে পেলাম সামনেই। আমরা সবাই লঞ্চের ছাদে এসে বসলাম (কয়েকজন ছেড়ে)। এদিকে ধীরে ধীরে হাওয়াও দিচ্ছে। একদিকে ভয় লাগছে, আবার একদিকে ভালোও লাগছে। আমাদের লঞ্চ এতক্ষণ নদীর ধার ধরে চলছিল, কিছুক্ষণ পর দেখলাম প্রায় মাঝ সমুদ্রে চলে এসেছে। চারপাশে অন্ধকারের মাঝে শুধু জেলে নৌকায় টিমটিম করে লম্ফ জ্বলছে। এদিকে আকাশ তারায় ঢাকছে। আমি শুয়ে পড়েছি ছাদের মধ্যে, একটু ধুকপুক করছে, দৃষ্টি শুধুই তারার দিকে নিবদ্ধ। মাঝিরাই আমদের গাইড ছিল। তারা পাড়ের দিকে টর্চের আলো ফ

Bhitarkanika Tour 2008 (Part 2)

ছবি
পূর্ববর্তী পর্বের জন্য পাশের লিঙ্ক টি দেখুন -  https://travellingsourav.blogspot.com/2020/10/Chandabali-KanikaPalace-Baitarani.html  Our motor boat at ChandBali ব্রাহ্মণী নদী ছেড়ে লঞ্চ খুরাই নদীতে ঢুকল। এখানে একটি চেকপোস্ট আছে, নাম ‘খালি চেকপোস্ট’। এখানেই আমদের কাঁকড়ার মাংস দিয়ে ভাত, ডাল ও রায়তা দিয়ে দুপুরের ভুঁড়িভোজ সারা হল। এবার আমরা একটি ছোট খাঁড়ির মধ্যে দিয়ে চলতে লাগলাম, মাঝিদের কাছ থেকে জানলাম, এটি একটি কুমির প্রকল্প। আমরা খাঁড়ির চারপাশেই ছোট,বড় ও বাচ্চা নানা ধরনের কুমির দেখতে পেলাম। এই খাঁড়িটি কয়েক কিলোমিটার লম্বা। এটি সাপের মত এঁকে বেঁকে মোহনা পর্যন্ত চলে গিয়েছে। আমাদের লঞ্চ ঠিক নদীর মাঝখান দিয়ে যাচ্ছিলো, দুই পাশে মাঝে মাঝে হরিণ দেখা যাচ্ছিলো। এই ভাবে আমরা ধীরে ধীরে এসে পউছালাম Dangmal forestএ । On the way for Dangmal Forest Dangmal forest  হল ভিতর কনিকার একটি অংশ। সর্ব প্রথম আমরা চললাম কুমির দেখতে। এখানে ছোট বড় নানা ধরনের কুমির আছে, সঙ্গে আছে ডিমও। এখানে আছে ভারতীয় অজগর। জিগ্যাসা করে জানলাম, এর কাজ হচ্ছে ১৫ দিন পর পর একটা করে মুরগি খাওয়া, আর বাকিটা সময় ঘুমিয়ে কভার করে দেওয়া। এই

Bhitarkanika Tour 2008 (Part 1)

ছবি
           আজ আমি যে ভ্রমণ কাহিনী শুরু করছি, সেই জায়গাটার নাম অনেকেই শুনেছেন, আবার অনেকের কাছে এটা OFF-BEAT . কোন জায়গা? ওড়িশার ভিতরকণিকা। সময়টা ছিল ২৬ থেকে ২৯ শে ডিসেম্বর ২০০৮।আমাদের এই ভ্রমণটি ছিল ৪দিন ৩ রাতের। এবং সেই আমার ডায়েরি থেকে। তবে একটা কথা বলি, এই ভ্রমন কাহিনীটি আমি ছোট ছোট পর্বে ভাগ করেছি, যাতে পড়তে সময় লাগবে খুব অল্প এবং অবশ্যই ভালো লাগে ...... Sunrise on Baitaroni River     আমাদেরই লোকাল একজন ট্যুর অপারেটর এর উদ্যোগে হাওড়া থেকে ১ঃ৪০ টার হাওড়া-ভূবণেশ্বর জন শতাবদি   এক্সপ্রেস ধড়ার জন্য ১২ জনের একটি দল টাটা সুমতে করে ঠিক একটায় গিয়ে হাজির হলাম। ট্রেন ছাড়লো ঠিক সময়ে। প্রথম দিনঃ-    হাওড়া থেকে ছাড়ার পর ট্রেনের প্রথম দাঁড়াল খড়গপুরে। তারপর আরও কয়েকটি station যাওয়ার পর পড়ল কেলেঘাই নদী, যেটা কয়েকদিন আগে বন্যায় ভেসে গিয়েছিল। এবার ট্রেন ঢুকে পড়ল ওড়িশাতে। ওড়িশাতে ঢুকে প্রথম দাঁড়াল ‘জলেশ্বর’ station এ। সিগন্যাল না পাওয়ার জন্য কয়েকটি station এ দাঁড়ালেও শেষে চলে এলাম station বালাসর এ। না এটা আমাদের গন্তব্য station নয়, আমরা চলে এলাম ‘ভদ্রক’ station এ। এখানে সবাই নেমে পড়ার পর আমদের ট্যু