পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Purulia's Pakhi Pahar & Khairabera Dam

ছবি
গত পর্বের লিঙ্কঃ    https://travellingsourav.blogspot.com/2022/12/MurugumaDam-MarbleLakeUpperDam.html   চতুর্থ দিন(১৮/১১/২২)ঃ   গতকাল রাতেই আমরা ঠিক করে নিয়েছিলাম আমরা যাব আমাদের বাকি স্পট Pakhi Pahar  আর KhairaBera Dam দেখতে। সকাল সকাল স্নান সেরে প্রাতঃরাশ সেরে আমরা ৯ঃ৩০ টা নাগাদ বেড়িয়ে পড়লাম। আমরা ঠিক মত জানতাম না যে কোনটা কোন দিকে পরবে। তাই আমরা হিলটপ রোড থেকে প্রথমে নেমে এলাম নীচে। নীচে আমরা প্রথম দিনে যার হোটেলে খেয়েছিলাম তাদেরকেই জিগ্যাসা করলাম কোনটা কোন দিকে পরবে। ওনারা বললেন সামনে নেতাজী মোড় আছে। সেখান থেকে বাঁ দিকে প্রায় ১০ কিমি গেলে পরবে পাখি পাহাড়। আর ডান দিকে ১০ কিমির বেশী রাস্তা যেতে হবে তাহলে পরবে খয়রাবেরা ড্যাম। ভাল কথা, আমরা পাহাড় থেকে যখন নীচে নামছিলাম তখন বেশ কয়েকটি গুড় তৈরির জায়গা দেখতে পেলাম। তার মধ্যে আমরা ঢুঁ মারলাম দুটি জায়গাতে দেখলাম এক জায়গায় পাতলা গুড় বলল ১২০/- টাকা কেজি, পাটালি গুড় ২০০/- টাকা কেজি। আমরা দর কষাকষি করে পাতলা গুড় নিলাম ১০০/- টাকা কেজি সঙ্গে বোতলের জন্য ১০/-। এবার আমরা চললাম প্রথমে  Pakhi Pahar র উদ্দেশ্যে। নেতাজী মোড় থেকে বেড়িয়ে অনেকটা যেতে হল

Joyrambati & Kamar Pukur after Lock Down

ছবি
পূর্ববর্তী পর্বের জন্য পাশের লিঙ্ক টি দেখুন   https://travellingsourav.blogspot.com/2021/01/Bishnupur-all-Temples.html   আবার এগিয়ে চলেছি, যাব জয়পুরের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে। দারুন রোমাঞ্চ হচ্ছিল সেই সময়টা তে। বেশ কিছুটা যাওয়ার পর শুরু হল জয়পুরের জঙ্গল। যাত্রাপথে দুরের ঐ গাছের মাথা, আর তার মাঝখান থেকে সূর্যের উঁকি দেওয়া, সেই দৃশ্য টা যে কি সুন্দর লাগছিল তা সত্যি বলে বোঝাতে পারব না। এই পথ ধরে এগোতে কি যে ভালো লাগছিল, বার বার মনে হচ্ছিল, “ এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে ক্যামন হত তুমি বলত ”। আপনারাও যখন এই পথে আসবেন তখনও এই রকমই মনে হবে দেখবেন, মিলিয়ে নেবেন আমার কথা গুল। সাইন বোর্ডে লেখা আছে ” হাতি পারাপারের রাস্তা, গাড়ী আসতে চালান“। জঙ্গল পেড়িয়ে এসে আমরা একটা চায়ের দোকানে দাঁড়ালাম। মিনিট ১০, এখানে কাটিয়ে আবার রওনা দিলাম। বিষ্ণুপুর থেকে জয়রাম বাটি যেতে সময় লাগে প্রায় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের কাছাকাছি, দূরত্ব প্রায় ৪৪ কিমি। জয়রাম বাটিতে সব চেয়ে আগে আমরা গেলাম “মায়ের বাড়ী” দেখতে। যখন গেলাম তখনও গেট খোলে নি। গেট খুলল ৮ঃ৩০ টায়। হাতে লোশান দিয়ে, তাপমাত্রা পরীক্ষা করে ভিতরে ঢুকতে দিল। আবার মন খারাপ সাত সকালে

Bishnupur - a part of West Bengal Tourism

ছবি
পূর্ববর্তী পর্বের জন্য পাশের লিঙ্ক টি দেখুন  https://travellingsourav.blogspot.com/2020/12/Gongoni-or-Gangani-.html   বেলা ১ নাগাদ আমরা গনগনি থেকে রওনা হলাম বিষ্ণুপুরের দিকে। গুগুল ম্যাপে সময় ও দূরত্ব দেখাল যথাক্রমে ৪৬ মিনিট ও ২৮ কিমি। দেখলাম রাস্তাটি বেশ ভাল। প্রায় ১ থেকে দেড় ঘণ্টা পর আমরা চলে এলাম Bishnupur । প্রথমেই চলে এলাম রাসমঞ্চ দেখতে। এখানে এসে আবার দেখি ঝামেলা। সরাসরি টিকিট দিচ্ছে না। ফেসবুকে গিয়ে Archaeological Servey of INDIA Bishnupur Sub Circle এ গিয়ে টিকিট করতে হচ্ছে। পাশেই একটি ছোট্ট বোর্ডের মধ্যে এই সংক্রান্ত নোটিশ   দেওয়া আছে। এখানে টিকিট কেটে আপনি তিনটি জায়গায় ( যে সব স্থানে টিকিট লাগে) যেতে পারেন। এই তিনটি জায়গা হল – ১ রাসমঞ্চ, ২ রাজবাড়ী ও ৩. জোড়বাংলো মন্দির। আমরা টিকিট করলাম, অন লাইনে, জন প্রতি ২০ টাকা। তবে এখানে নিজের জিনিষপত্র সঙ্গে নিয়েই ঢুকতে হল। তবে এখানে শুধু ছবি তোলা যাবে, ভিডিও একদমই করা যাবে না। অগত্যা মন খারাপ। ছবি তুললাম। রাসমঞ্চ ঘুরলাম। ভিডিও করলাম তবে লুকিয়ে। (জানিনা আপনাদের কতটা দেখিয়ে বোঝাতে পারব)। এখান থেকে বেরিয়ে পাশেই আছে একটি বড় গো শালা।    আসেপ